দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগে আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৫৬ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৭৮ জন। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৩৫টি। আর পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬০টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ২ হাজার ৮৫৬ জন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।’

অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৫৭৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১৭ হাজার ৮২৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪৪ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ১ হাজার ১৩৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ৩৩ জন এবং নারী ১১ জন।’

বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৭ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে।’

‘তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে’ বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

এর আগে শুক্রবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৪৭১ জন, মারা যায় ৪৬ জন। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ১৮৭ জন, মৃত্যু হয় ৩৭ জনের। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।