দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রাজধানী ঢাকায়। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৫৬ জন। এই নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ৪৪ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৯ জনে। এদিকে আরো ৫৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ হলেন।

শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ হাজার ৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ৮৯ হাজার ৯৬০টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭.১৭ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২.১৩ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪৯৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৩৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৬৮ জন। আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ হাজার ২২৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪১৪ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৪৮০ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৯ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ৭৮৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো— মিরপুর এলাকা ১,২১৪, উত্তরা ৫৩০, মহাখালী ৪৭৫, মোহাম্মদপুর ৪৫৫, মুগদা ৪৪৬, যাত্রাবাড়ী ৪১২, ধানমন্ডি ৩৫৯, কাকরাইল ৩০২, মগবাজার ২৭৭, তেজগাঁও ২৭৭, খিলগাঁও ২৪৮, রামপুরা ২৪৩, লালবাগ ২২৯, রাজারবাগ ২২৪, বাড্ডা ২১৯, গুলশান ১৮৮, মালিবাগ ১৮৫, বাবু বাজার ১৬২, গেন্ডারিয়া ১৫৫, বাসাবো ১৪০, ওয়ারী ১৩৫, বংশাল ১১৫, আগারগাঁও ১১৪, শ্যামলী ১১৪, পল্টন ১০৮, আজিমপুর ১০৪, শাহবাগ ১০৩, হাজারীবাগ ১০২, বনানী ৯৯, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ৯৩, ডেমরা ৮৭, আদাবর ৮৬, বনশ্রী ৮২ ও পোস্তগোলা ৫ জন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা দেয় আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।