দেশের মোট ১৫টি জেলার ৩৮টি এলাকাকে করোনাভাইরাস বিস্তারে ঝুঁকিপূর্ণ ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ওইসব এলাকাতে ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২৩ জুন) থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। সোমবার (২২ জুন ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় চট্টগ্রাম, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর ও মাদারীপুরের ২৭টি ‘রেড জোন’ এলাকায় এই ছুটির আদেশ জারি করে। পরে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি আদেশে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়ার ১১টি ‘রেড জোন’ এলাকাকে এর আওতাভুক্ত করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। তবে জরুরি পরিসেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

রেড জোন ঘোষিত এলাকা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন লাল অঞ্চলে জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে, যানবাহন ও সাধারণের চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে যে তিনটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে, তার মধ্যে ‘রেড জোনে’ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রবণ এই এলাকাগুলোতে ২৩ জুন থেকে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়েছে; যদিও এর কোনো কোনোটিকে ১৪ জুন ও ‍২১ জুন থেকে রেড জোন ঘোষণার কথা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।