গাজীপুরের শ্রীপুরের মেধাবী ছাত্রী কনিকা আক্তারের(১৬) আর কলেজে ভর্তি হওয়া হলনা। এর আগেই বাড়ির পাশে শাক তোলা শেষে পা ধুইতে গিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে সে। মঙ্গলবার দুপুরে নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা তার লাশ উদ্ধার করেছে। কণিকা শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে।

ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আল মামুন ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কনিকা বাড়ির পাশের জমিতে শাক তুলতে যায়। শাক তোলার সময় বৃষ্টিতে জমির মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় তার পায়ে কাদা লাগে। এক পর্যায়ে সে শাক তোলা শেষে নদীর পানিতে পায়ের কাদা পরিষ্কার করতে গেলে পা পিছলে শীতলক্ষা নদীতে পড়ে যায়। নদীর অপর পাশের লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসে এবং কণিকার পরিবারকে বিষটি জানায়। লোকজন আসার আগেই কণিকা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ও ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে শীতলক্ষা নদী থেকে কণিকার লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।নিহতের স্বজনরা জানায়,কণিকা এবছর এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।