দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে মাদারীপুর জেলায় শনাক্ত হওয়ায় গত শনিবার বিকেল ৫ টা থেকে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪৭জনে। করোনা উপসর্গসহ মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ জনের মত। অনেকেই রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে ঘুরতে দেখা গেছে অপ্রয়োজনেই । এই ঝুকিপূর্ণ জেলায় মানছে না কেউ লকডাউন।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকালে শহরের পুরানাবাজার,চৌরাস্তা, ইটেরপুল, ডিসিব্রীজ, বটতলা, চরমুগরিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্র ছিল একই রকম। মাস্ক তো দুরের কথা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই অনেকেই হাটে বাজারে, রিক্সা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করছেন। অপ্রয়োজনে চায়ের দোকানে দিচ্ছেন আড্ডা। এতে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। তবে, রেড জোন এলাকায় প্রশাসনের তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় মাদারীপুরের ৪টি পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ড ও জেলার ২২টি ইউনিয়নকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব এলাকায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে গত বুধবার (১৭ জুন) জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে বলা হয় বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার, ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও সার্বক্ষণিক ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে। পরে সোমবার সন্ধ্যায় একই কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
মাদারীপুর জেলায় ‘রেড জোন’ এলাকাগুলো হলো: মাদারীপুর পৌরসভার ১ থেকে ৭নং ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বাহাদুরপুর, দুধখালী, ঝাউদি, মস্তফাপুর, রাস্তি ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন। এছাড়া শিবচর রেড জোনে পৌরসভার ১, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড এবং শিবচর উপজেলার দ্বিতীয় খ-, বহেরাতলা দক্ষিণ, বাঁশকান্দি, ভদ্রাসন, মাদবরেরচর, কাদিরপুর, শিবচর, পাঁচ্চর। কালকিনি উপজেলার ‘রেড জোন’ এলাকা হলো: কালকিনি পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এবং ডাসার, গোপালপুর, আলীনগর এবং শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন। রাজৈর উপজেলার মধ্যে রাজৈর পৌরসভার ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৮নং ওয়ার্ড এবং উপজেলার আমগ্রাম, হোসেনপুর, কবিরাজপুর ও বদরপাশা ইউনিয়ন ‘রেড জোনে’র আওতায় রয়েছে।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।