পাবনায় ৫টি “ইউনিয়ন পরিষদ বাজেট ২০২০-২০২১ এবং করোনা মোকাবেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রত্যাশা” শীর্ষক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ প্রতীক মহিলা ও শিশু সংস্থা’র আয়োজনে ও অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও কমনওয়েল্থ ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় এই সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এস এম সাইফুর রহমান সভা সঞ্চালনা করতে গিয়ে বলেন বিগত কয়েক দিনে প্রতীকের পক্ষ থেকে পিআরপিডি-সিআই প্রকল্পের অন্তর্গত ৫টি ইউনিয়নে বসবাসরত তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠো ফোনে আলোচনায় উঠে এসেছে যে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তাদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ঘরে থাকার কারণে কর্মজীবী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা একদিকে যেমন আয় করতে পারছে না, অন্যদিকে পরিবারের উপর নির্ভরশীল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা পরিবারের আয় বন্ধ হবার কারণে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা বাজেট রাখা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-২ শাখার ২৩/০২/২০১৫ তারিখের ৪৬.০১৮.০৩২.০০.০০.০৩৭.২০১৫-৩৩ নং স্মারকে জারিকৃত পরিপত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের করণীয় শীর্ষক ০২ নং অনুচ্ছেদে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই করোনা ভাইরাসের প্রভাবের ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ইউপি বাজেটে বরাদ্দ এবং যথাযত ভাবে বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

সভায় দোগাছী ইউনিয়ন স্ব-সহায়ক দলের পক্ষ থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী আল-মামুন, চরতারাপুর ইউনিয়ন স্ব-সহায়ক দলের মো: সুজন হোসেন, গয়েশপুর ইউনিয়ন স্ব-সহায়ক দলের সভাপতি আব্দুল লতিফ, হিমাইতপুর ইউনিয়ন স্ব-সহায়ক দলের পক্ষ থেকে তাসমিয়া তানহাসহ একসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের মনিটরিং কো-অডিনেটর লিটন বারুরী বলেন করোনার কারণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য সেবা খাতে ইউপি বাজেট প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বরাদ্দের জন্য এ্যাডভোকেসি করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সিভি প্রদানের জন্য আহ্বান জানান। ভার্চুয়াল সভায় পাবনা সদর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন – হিমাইতপুর ইউনিয়ন, দোগাছী ইউনিয়ন, চরতারাপুর ইউনিয়ন, গয়েশপুর ইউনিয়ন এবং মালঞ্চি ইউনিয়ন এর সচিব এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশগ্রহন করেন।