কুয়াকাটা সৈকতের বিকল্প সড়ক আলীপুর-চাপলীবাজরের রাস্তাটি অনেক আগেই বর্ষা মৌসুমের টানা মাসিক বৃষ্টিতে কর্দমক্ত ও ইটভাটার ট্রলি গাড়িতে ধ্বংস হয়ে গেছে। দানবীয় ৬ চাকার ট্রলিগাড়ী খ্যাত দিনরাত ২৪ ঘন্টাই পুনামপাড়া গ্রামের তিনটি ইটভাটা থেকে ইট পরিবহন করায় সড়কটি ব্যাপক পরিমান খানাখন্দে পরিনত হয়। নতুন করে ওই সড়কে নির্মাণাধীন ৫টি স্লুইজগেটের কাজ চলমান থাকায় সড়ক পথে পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমটি বন্ধ হবার উপক্রমে বিকল্প উপায় নৌ-পথে যোগাযোগে পুনুরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে এমনটাই জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিন ওইসব ট্রলি গাড়ি ইট ও নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সড়ক পথে যাতায়ত করলে নির্মাণাধীন স্লুইজগেট আটকা পড়ে থাকে। এই বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দের সাথে মাটি ও কাঁদাযুক্ত হয়ে গোটা সড়ক পিচ্ছিল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পায়ে হেটে নিত্য দিনের কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবি মানুষসহ নানা পোশার মানুষদের। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়ছে বয়স্ক, বৃদ্ধ শ্রেণীর লোকজন। চিকিৎসা নিতে পারছেনা নবজাতকসহ প্রসুতি মায়েরা।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮নং পোল্ডারের এসও তুহিন বলেন, বেড়িবাঁধ উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের স্লুইজগেট নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প চলমান রয়েছে। চায়না একটি প্রতিষ্ঠান এ উন্নয়নের কাজ করছিল। করোনা দূর্যোগে কাজে স্তবিরতা দেখা দিয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক বলেন,উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যেহেতু চলমান রয়েছে , সেক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকল্প নেবার সুযোগ নেই।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি