করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় বেশ কিছু তথ্য জেনে গেছে। স্বাস্থ্য বিধি আর সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা সম্মন্ধে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। আশার কথা হচ্ছে প্রায় আশি ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। অনেকের তো চিকিৎসা যোগ্য উপসর্গ নেই। আর যারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের ভেতর শতকরা 2 ভাগের নিচে মৃত্যু বরণ করেছেন। যাদের এক বড় অংশ আগে থেকেই বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছিলেন।

অনেক অভিযোগ করেন তারা এই দীর্ঘ সময় ধরে সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরেও কেউ আবার করোনা আক্রান্ত হোন। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্য বিধি কোনো ত্রুটি থাকলে এটা শরীরের ভেতর প্রবেশ করবে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেই কেবল উপসর্গ দেখা দিবে।

আমাদের দেশে প্রতি বছর মানুষ কোনো না কোনো সময় ঠান্ডা জনিত সমস্যা ভুগে। তারা সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চলেও ভালো হোন। সৃষ্টি কর্তা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছেন। সেটা আপনা থেকেই কাজ করে চলে অবিরাম। আর এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, প্রতিদিন পর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম করেন বা ব্যায়াম করেন, মানুষিক ভাবে সদা উৎফুল্ল থাকেন। তারা রোগে কম ভুগেন, বা ভুগলেও দ্রুতই সেরে উঠেন। আর যারা অকারণ আতংকে থাকেন, অকারণ দুশ্চিন্তা করেন, ভয় পান বা অতি সতর্ক থাকেন তারা রোগে ভুগেন বেশি।

আপনি যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন, নিজেকে শারীরিক আর মানুষিক ভাবে চাঙ্গা রাখুন। এক মুহূর্তের জন্য আতংকে বা দুশ্চিন্তা করবেন না। এরপরেও যদি আপনি করোনা আক্রান্ত হোন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন আর বাকিটা নিজের শরীরের উপর ছেড়ে দিন। আপনার আতঙ্ক আপনার রোগ প্রতিরোধ বা সুস্থ করে তুলতে বিন্দু মাত্র ভূমিকা রাখবে না। বরং আপনি নিজেকে অসুস্থ করছেন আর আপনার পরিবারের জন্য অযথা মাথা ব্যাথা এর কারণ হচ্ছেন।

তাই
সতর্কতার বিকল্প নাই, আতঙ্কের কোনো ওষুধ নাই।

সেরাজুস সালেকিন।
বক্ষ ব্যাধি সার্জন থোরাসিক সার্জারি বিভাগ
সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল।