যুক্তরাষ্ট্রে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) একদিনে ৫৭ হাজার ২৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। যা বিশ্বের কোনও দেশে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৭ জনের। যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো একদিনে ৫০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হলো। আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ে বাড়তে থাকায় বিভিন্ন রাজ্যের আইসিইউ বেডের সংকটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইতোমধ্যে করোনার থাবায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৮ জনের। আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ১ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫৬ জন মানুষ। বিশ্বে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৫ জনের। আমেরিকার পরই করোনার প্রভাব বেশি পড়েছে ব্রাজিলে। সেই দেশে ১৫ লাখ ১ হাজার ৩৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত। প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৬১ হাজার ৯৯০ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই রয়েছে রাশিয়া। সেখানে ৬ লাখ ৬১ হাজার ১৬৫ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৩ জনের। আক্রান্তের নিরিখে চার নম্বরে রয়েছে ভারত। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ‌২৭ হাজার ১৬৮। ‌মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ২২৫ জনের। এরপর রয়েছে স্পেন। সেখানে মোট ২ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩৬৮ জনের।
জুনের পর বিশ্বে করোনায় দ্বিতীয় ধাক্কা আসবে এ ব্যাপারে আগাম সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও। এই সংক্রমণ রোধ করতে বিশ্বে লকডাউন থাকা প্রয়োজন বলেও পরামর্শ দিয়েছিল সংস্থাটি। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত লকডাউনের কড়াকড়ি রাখা জরুরি বলেও জানায় তারা। তবে অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিশ্বের প্রায় সব দেশই লকডাউন শিথিল করেছে।