দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ১১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯১ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৯৬৮ জন।

শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি আরও বলেন, দেশে মোট ৭১টি ল্যাব চালু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩২টি। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬০৬ জন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪২ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন। আর এদের মাঝে ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের, চারজন রংপুর বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের ও একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। ৩১ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো— মিরপুর এলাকা ১,৮৭৩, উত্তরা ৭০৭, মোহাম্মদপুর ৬৩০, মহাখালী ৫৭২, যাত্রাবাড়ী ৫৪১, মুগদা ৫২১, ধানমন্ডি ৪৯৫, মগবাজার ৩৬৮, খিলগাঁও ৩৪৩, তেজগাঁও ৩৪০, রামপুরা ৩২১, বাড্ডা ৩২০, কাকরাইল ৩১১, লালবাগ ২৯৪, গুলশান ২৭৫, বাসাবো ২৫০, রাজারবাগ ২৩৮, মালিবাগ ২১৯, গেন্ডারিয়া ১৮৬, ওয়ারী ১৬৩, বাবু বাজার ১৬২, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ১৬২, বংশাল ১৫৬, আদাবর ১৫৩, আগারগাঁও ১৪৩, ডেমরা ১৪১, শ্যামলী ১৩৯, আজিমপুর ১৩৮, শাহবাগ ১৩৬, হাজারীবাগ ১৩৫, বনশ্রী ১৩০, বনানী ১২৯, শান্তিনগর ১১৭, রমনা ১১৫, পল্টন ১১২ ও পোস্তগোলা ৫ জন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা দেয় আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।