মাদারীপুরে পূর্ব শুত্রুতার জেরে অসহায় ইদ্রিস বেপারী নামে এক কৃষকে হত্যার চেস্টা করেছে একই এলাকার সোহাগ মৃর্ধা নামে ইতালী প্রবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০জুন মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার নতুন রাজারহাট এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। এঘটনায় মামলার ৪দিন পার হলেও কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।তবে পুলিশ বলছে আমরা চেস্টা করছি অপরদিকে মামলার বাদী বলছে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা নেই।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৩০জুন মঙ্গলবার প্রতিদিনের মত ইদ্রিস বেপারী ও তার ভাতিজা সুমন বেপারী কৃষি কাজ শেষে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে নতুন রাজার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি বটগাছে নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এসময় সোহাগ মৃধা ও তার সহযোগীরা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ইদ্রিস বেপারীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম করে এতে ইদ্রিস বেপারীর পিঠে বড়ধরনের আঘাত হয়। এবং পাশাপাশি তার ডান হাতের একটি আঙ্গুল পুরাপুরি কেটে ফেলেছে আর বাকি আঙ্গুলগুলো মারাত্মক জখম হয়েছে। এরপর এলাকাবাসীর দেখতে পেয়ে ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং আহত অবস্থায় কৃষককে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে তিনি এখনো আংশাকা মুক্ত নয়। ইদ্রিস বেপারী সদর উপজেলার বাহাদুর ইউনিয়নের মিরাকান্দি গ্রামের মৃত হাতেম বেপারীর ছেলে। এবং ইদ্দিস বেপারীকে হত্যার চেষ্টাকারী সোহাগ মৃধা একই এলাকার আশ্রাফ মৃধার ছেলে।

মামলার বাদী ইদ্দিস বেপারীর ভাতিজা সুমন বেপারী জানান,একই এলাকার রাজু বেপারীর ছেলে তারা মিয়া বেপারী সাথে বাড়ির জায়গা নিয়ে অনেক আগের বিরোধ ছিল। সেই সুত্রধরে একই এলাকার প্রভাবশালী যাত্রাপালা, সার্কাস ব্যবসায়ী আশ্রাফ মাতুব্বর তারা মিয়াকে বিভিন্নভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে পুর্ব-পরিকল্পিতভাবে আশ্রাফ মৃধার হুকুমে তার ছেলে সোহাগ মৃধা ও তার সহযোগীরা আমার ভাতিজা ইদ্রিস বেপারী ও আমার উপর হামলা চালায় এতে আমার ভাতিজা গুরুতর জখম হয় এবং আমাকে পিটিয়ে আহত করে।ভাতিজাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করি এবং আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করি।

এলাকাবাসীরা জানান,আশ্রাফ মৃধা,বেল্লাল মাতুব্বর,আলমগীর মুন্সী দীর্ঘদিন যাবৎ নতুন রাজার হাট এলাকায় বিভিন্ন জমি দখল,ত্রাস সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। এলাকাবাসীর দাবী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হক। এ ব্যাপারে জানতে ইতালী প্রবাসী তারা মিয়ার বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী কাজুলি বেগম জানান, হামলা করেছে আশ্রাফ মৃধার ছেলে সোহাগ মৃধা। আমার স্বামী এই হামলার জড়িত না।

অভিযুক্ত আশ্রাফ মৃধার বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী ও সোহাগের মা ফেরদৌসি বেগম জানান, আমার ছেলে ইতালি প্রবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ করোনা ভাইরাসের কারনে দেশে এসে আর যেতে পারেনি। ইদ্রিস বেপারীকে হত্যার চেষ্টা করেছে তারা মিয়া গং। আমাদের ফাসানোর চেস্টা করা হচ্ছে। ৮/১০ বছর আগে আমাদের সাথে একবার মামলা হয়েছিল সেসময় আমাদের একজন তারা হত্যা করেছিল সেসময় তারাও জেল খেটেছিল। তাই এখন আমাদের ফাসানোর জন্য আমাদের কথা বলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই ওবায়দুর রহমান বলেন,মামলা হওয়ার পর আমরা আসামীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছি আশা করি দ্রুত আসামী ধরতে পারবো। মামলার বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন,মামলার আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর, আশা করি খুব দ্রুত আসামী ধরা পড়বে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ দুইবার এলাকায় গিয়েছিল কিন্ত তারা সবাই পলাতক রয়েছে।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।