উত্তর মেসিডোনিয়ায় একটি ট্রাক থেকে ১৪৪ বাংলাদেশিসহ ২১১ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় সময় গত সোমবার মধ্যরাতে সীমান্ত এলাকা গেভজেলিজা শহরের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করে নিরাপত্তা টহল পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, রুটিন মাফিক টহলে তল্লাশির জন্য একটি ট্রাক থামালে তার ভেতর গাদাগাদি করে রাখা দুই শতাধিক মানুষ দেখতে পায় পুলিশ। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জন কম বয়সী অভিবাসী রয়েছে। বাংলাদেশি ছাড়া বাকি ৬৭ জন পাকিস্তানের নাগরিক। পুলিশ বলছে, অবৈধভাবে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। উদ্ধারকৃত সবাইকে আটক দেখিয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ওই ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৭ বছর ওই চালক মেসিডোনিয়ান নাগরিক। পুলিশ ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি, বরং তার নামের অদ্যাক্ষর প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের কারণে গ্রিস সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর মেসিডোনিয়া। কিন্তু মানবপাচারকারীরা এখনো সেখানে তৎপর রয়েছে। পাচারকারীরা তুরস্ক থেকে গ্রিসের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানুষদের পাচার করে থাকে।

প্রতি বছরই যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দরিদ্র দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে গ্রিস হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমায় হাজার হাজার অভিবাসী ও শরণার্থী। বর্তমানে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অন্তত ৫ হাজার ২০০ অভিবাসী শিশু গ্রিসে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে অনেকে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৩ জুন অপর এক ট্রাকের ভেতর থেকে ৬৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল উত্তর মেসিডোনিয়ার পুলিশ। দেশটির দক্ষিণপূর্বে স্ট্রুমিকার কাছে নিয়মিত টহলের সময় ওই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছিল।