গাজীপুরে টঙ্গীর এক বাসা থেকে পান-সিগারেট বিক্রেতা এক হকারের গলা কাটা লাশ বুধবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক জামাতা ও এক ছেলেসহ ৫জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের নাম- সাইফুল ইসলাম (৫০)। সে রংপুরের গঙ্গারচর থানার চাঁনবাগ গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে।

জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হিমার দীঘি এলাকায় জনৈক আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে স্বপরিবারে ভাড়া থাকে সাইফুল ইসলাম। সে এলাকায় ঘুরে ঘুরে পান-সিগারেট বিক্রি করতো। তার স্ত্রী বিউটি আক্তার (৪০) স্থানীয় কোকা-কোলা আইসক্রীম কারখানায় এবং ছেলে হক বিস্কুট কারখানায় কাজ করে। বেশ কিছুদিন ধরে সাইফুল ও বিউটির মাঝে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বুধবার সকালে বিউটি ঘর তালাবদ্ধ করে কারখানায় চলে যান। সকাল ১০টার দিকে কারখানা থেকে তিনি বাসায় ফিরে এলে সাইফুলের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ঘরের দরজা আটকে দেন তারা। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হঠাৎ তারা নিশ্চুপ হয়ে যান। স্বামী-স্ত্রীর কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের মাঝে সন্দেহ দেখা দেয়। এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে ওই ঘর থেকে সাইফুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় লাশের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী বিউটি, মেয়ে শারমিন ও সানজিদা, শারমিনের স্বামী স্বাধীন এবং এক ছেলে মিঠু মিয়াসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে সাইফুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।