দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রেহেনার অকাল মৃত্যুতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু। তিনি জানান, ছোট বোন রেহেনা কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। চিকিৎসার ব্যয়ভার কষ্টসাধ্য ছিল। এ সময়ে আমার কর্মস্থল দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ আমার বেতন ভাতা পরিশোধ করছিল না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করতে কানাডা যাওয়ায় কারণে অফিস থেকে তদন্তকালীন চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। পাওনা রয়েছি প্রায় ছয় লাখ টাকার ওপরে। ছোট বোনের অসুস্থতা ও চিকিৎসার বিষয়টি অফিসকে লিখিতভাবে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছি। তাতেও উপকার হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা করে আমার পাওনা হতে কর্তনের লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তাতেও প্রতিষ্ঠানটি কোনকিছুই করেনি। অর্থাভাবে ভালভাবে বোনের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। সে গত ২৯/০৬/২০২০ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট আমার বাসায় মারা যান। আমার বোনটির ভালভাবে চিকিৎসা হলে বেঁচে থাকত। ঢাকা আহছানিয়া মিশন নামক মানবিক প্রতিষ্ঠানের এই অমানবিক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রেহেনার মা ফজিলা বেগম বলেন, আমার ছেলে বাবু বোনের চিকিৎসার জন্য পাগলের মতো হয়ে গেছে। একদিন সে আমাকে বলে মা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ক্যান্সার হাসপাতাল আছে। আমার টাকার পরিবর্তে সেখানে আমার বোনের চিকিৎসার জন্য আবেদন জানাবো। এই বলে সে দীর্ঘদিন ঢাকা আহছানিয়া মিশনে দৌড়া দৌড়ি করেন এই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

রেহেনার বড় মেয়ে রাদিয়া ইসলাম বলেন, আমার বড় মামা আমার মাকে যেভাবে মানুষ করেছেন, আমাদের দুই বোনকে তেমনি করে মানুষ করবেন। ইনশাআল্লাহ। আপনার সকলেই মামার জন্য দোয়া করবেন। আর ঢাকা আহছানিয়া মিশনের বিষয়টা একটু দয়া করে দেখবেন।

আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে মৃত ফটোসাংবাদিক রেহেনার দুই মেয়ে রাদিয়া ইসলাম (১৪) ও রাবাবা ইসলাম (৩), স্বামী- মোঃ বাচ্চু মিয়া, মা ফজিলা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।