করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৭১ হাজার ৭৮৭ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড। এদিন মারা গেছে ৮৪৯ জন। গত কয়েকদিন ধরেই টানা ৬০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে। গত ১১ দিনের মধ্যে ৭ দিনই সংক্রমণের ভয়াবহতা আগের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যে হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ-যা ভাবনারও অতীত। একইভাবে এসব এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। জর্জিয়া, ইউটাহ, মন্টানা, নর্থ ক্যারোলিনা, আইওয়া এবং ওহিও রাজ্যে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় টেক্সাস, ফ্লোরিডা, আরিজোনা, জর্জিয়ার কিছু এলাকায় পুনরায় লকডাউনের কথা ভাবছেন সিটি ও রাজ্য প্রশাসন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউনের বিকল্প নেই। এর আগে, এপ্রিলের ২৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৭৩৮। তারপরই কমতে শুরু করেছিল সর্বত্র। যদিও দৈনিক গড়ে ২০ হাজার মানুষ করে সংক্রমিত হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাপে যেসব রাজ্য লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, সেগুলোতে জুনের মাঝামাঝি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু হরে।

এদিকে, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৩৬ লাখ। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ। তবে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৯৫ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬২০। অপরদিকে এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ১৫ হাজার ৭৭৭ জন।