লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলমারী গ্রামে জমি সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক অন্তঃস্বত্তা নারীর গর্ভপাত (গর্ভের সন্তান নষ্ট) হবার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভাসুর নুরল হক বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার শৈলমারী মৌজার নুরল হক তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ১ একর ৭ শতক জমি দীর্ঘদিন হইতে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। ভোগ দখল করা অবস্থায় একই গ্রামের মৃত শাহার আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকসহ ২৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন ৭ জুলাই নুরল হকের ভোগ দখলীয় জমিতে লাঠি সোটা, বল্লম, লোহার রড, ছোড়া ইত্যাদি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনি জনতায় দলবদ্ধ ভাবে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া আমন ধানের বীজ ক্ষেতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করিয়া ২৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। তাহা দেখিয়া নুরল হক আগাইয়া গেলে তার উপর চড়াও হয়ে এলোপাতারী মারপিট করিয়া ছিলা, ফুলা জখম করে। এসময় তার বাবা আলহাজ্ব ইউছুব আলী, মা নুরজাহান, ছোট ভাই নুর আলম ও ছোট ভাইয়ের বউ ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা আরজিনা বেগমকে বেধরক মারপিট করে। এসময় আরজিনার কানে থাকা ৬ আনা ওজনের স্বর্নের দুল জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে মোজাম্মেল হক বাঁশের লাঠি দিয়ে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা আরজিনা বেগমের তলপেটে আঘাত করে। আঘাত তলপেটে লাগায় রক্তক্ষরণ শুরু হয় আরজিনার। স্থানীয়রা গুরুতর আহত গৃহবধূ আরজিনাসহ সকল আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহতদের মধ্যে নুরজাহান বেগম ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা আর্জিনার শারিরিক অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৮ জুলাই দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ৯ জুলাই ভোরে হাসপাতালের প্রসূত চিকিৎসাধীন অবস্থায় আর্জিনার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায় এবং এতে গর্ভপাত ঘটে। গর্ভপাত ঘটার পর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।