নওগাঁয় চাঁদাবাজির অভিযোগে নওগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর সহ ৪ জন কে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, নওগাঁ শহরস্থ খাস নওগাঁ এলাকায় আজাদ সোনারের বাড়িতে রিপন মন্ডল (২৯) নামে এক ব্যক্তি ১ মাস পূর্বে বাড়ি নিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করছিল। গত রবিবার দুপুরে নওগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ (৫১) তার দলবল নিয়ে রিপন মন্ডলের ভাড়া করা বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে বলে তোমরা স্বামী স্ত্রী সেজে এ বাড়িতে দেহ ব্যবসা করছো। এ কথা বলে তাদেরকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখে ওই দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়ে বিয়ের কাগজ পত্র চেয়ে চলে যায়।

পরে কাউন্সিলর তার দল বল নিয়ে পুনরায় বাড়িতে এসে বিয়ের কাগজ চাইলে রিপন তার বিয়ের কাগজ পত্র দেখায় কিন্তু তারপরও কাউন্সিলর বনরাজ সহ তার দলবলেরা তাদেরকে মারপিট শুরু করে এবং এক পর্যায়ে কাউন্সিলর বনরাজ রিপনকে বলে এখানে বাস করতে হলে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে নইলে তাদের পরিনাম খুব খারাপ হবে। এসময় রিপনের স্ত্রী দিলরুবা খাতুন সান্তনা (৩৮) পুলিশকে সংবাদ দিলে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই আসামীরা পলিয়ে যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে গোলাপ রহমান বনরাজ নওগাঁ শহরস্থ গোস্ত হাটির মোড়ে বনরাজ ঔষধালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিজেকে হেকিম পরিচয় দিয়ে হারবালের রমরমা ব্যবসা করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করছিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোলাপ রহমান বনরাজ একজন বি ক্যাটাগরির প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হারবাল চিকিৎসক। বিধি মোতাবেক সে কোন প্রকার প্রেসক্রিপশন অথবা নিজেকে হেকিম বলে পরিচয় দিতে পারবে না। অথচ ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁ শহরের জনাকীর্ণ এলাকায় বিলাস বহুল চেম্বারে বসে হারবাল ঔষধ তৈরী করে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে আসছিল।

আসামীরা পলাতক ও জেল হাজতে থাকায় তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর বনরাজের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।