যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই। নুরুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বাবুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক শোকবার্তায় অর্থমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় দেশের অর্থনীতিতে নুরুল ইসলাম বাবুলের অবদানের কথা স্মরণ করেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী। যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। এক শোকবার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মুত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শোক প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ ছাড়াও নুরুল ইসলামের মুত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

এর আগে গত ১৪ জুন অফিস করার সময় নুরুল ইসলাম বাবুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাকে এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৫ জুন বাবুলের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ আসে। তবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির আগে দুবার তার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তবে দুবারই ফলাফল নেগেটিভ এসেছিল।

নুরুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ৩ মে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার দোহারে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নাগপাশ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেন।