নওগাঁর আত্রাইয়ে আত্রাই নদীর তিন স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাজুড়ে পানি থৈথৈ করছে। সার্বক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম, এসিল্যান্ড আরিফ মুর্শেদ মিশু, ওসি মোসলেম উদ্দিন এবং পিআইও নভেন্দু নারায়ন চৌধুরী বন্যার সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন।

জানাযায়, কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ এবং উজানের পানি নেমে আসায় আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দিবাগত রাতে আত্রাই- বান্দাইখাড়া সড়কের জিয়ানিপাড়া নামক স্থানে, আত্রাই- সিংড়া সড়কের বৈঠাখালি নামক স্থানে এবং পাঁচুপুর গ্রামে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতেকরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং পাশর্^বর্তী রাজশাহীর বাগমাড়া উপজেলার ২টি ইউনিয়ন নাটরের নলডাঙ্গা,সিংড়া ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সাহেবগঞ্জ, শিবপুর, ভরতেতুলিয়া,কুমঘাট সহ আরও অনেক গ্রাম নদী সংলগ্ন হওয়ায় ঐসব গ্রামের মানুল পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি কিছুপরিবার আত্রাই পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং পাথাইলঝাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম কাউছার হোসেন জানান, বন্যায় উপজেলার ২৩৪৯ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ২০৫৮ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, বন্যার সার্বিক বিষয় মনিটরিং করা হচ্ছে। অনেক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০টি গ্রামের ১৪ হাজার পরিবার বানভাসি হয়েছে, খামার ও মৎস চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে জেলা এবং ত্রাণ মন্ত্রনালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করছি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে বানভাসিদের শুকনো খাবার বিতরণ করছি।