দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ৫৪৭ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জন।

আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এদিকে বিশ্বব্যাপী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ২০৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৫ জন। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে কিছু কিছু জায়গায় আবার রোগটির পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার হার দ্রুত বাড়ছে। মৃত্যুহারও কমছে।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের। করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর দেশ ব্রাজিল। সেখানে ২০ লাখ ১২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং মারা গেছে ৭৬ হাজার ৬৮৮ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। দেশটিতে ৯ লাখ ৬৮ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় অষ্টম দেশটি। সেখানে করোনায় মারা গেছে ২৪ হাজার ৯১৫ জন।

আক্রান্তের হিসেবে চতুর্থ রাশিয়ায়। দেশটিতে ৭ লাখ ৫১ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত। রাশিয়াতেও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। মৃত্যুর দিক দিয়ে রাশিয়া বিশ্বে ১১ তম। সেখানে করোনায় মারা গেছে ১১ হাজার ৯২০ জন মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয়।