বিয়ের সময় কেনা স্বর্ণালংকারের মূল্য পরিশোধ না করায় রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাপাসিয়া বাজারের বর্ণালী জুয়েলার্সের মালিক চন্দন রক্ষিত শুক্রবার এ মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত মাসুদ রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের ঘনিষ্ট সহযোগী।

কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১১ সালের ১ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলার বরুন (বর্তমানে খোদাদিয়া) গ্রামের ডাক্তার আবু হানিফের ছেলে মাসুদ পারভেজ বিয়ে করার সময় স্ত্রীর জন্য স্থানীয় বর্ণালী জুয়েলার্স থেকে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩শ’ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করেন। তিনি স্বর্ণলংকারের মোট মূল্যের ৩২ হাজার তিনশ’ টাকা নগদ পরিশোধ করেন এবং বাকী ৫লাখ টাকার একটি চেক ওই ব্যবসায়ীকে প্রদান করেন। ওই চেক নিয়ে ব্যবসায়ী চন্দন রক্ষিত টাকা উত্তোলনের জন্য মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় গেলে হিসাব নম্বরটি বন্ধ পান। ফলে টাকা উত্তোলনে ব্যর্থ হন তিনি। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মাসুদ পারভেজের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী একাধিকবার যোগাযোগ করেন। কিন্ত মাসুদ পারভেজ টাকা পরিশোধ করেন নি। এব্যাপারে শুক্রবার চন্দন রক্ষিত বাদী হয়ে মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের দূর্ণীতি ও প্রতারণার ঘটনায় প্রতিষ্ঠাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গত মঙ্গলবার বিকেলে কাপাসিয়া উপজেলার সালদৈ গ্রামের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।