অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মানসিক ভারসম্যহীন ছালমা নিখোঁজের চারমাস পর তার বাবা-মাকে খুজেঁ পেলো। বুধবার আশ্রয়দাতা রুহুল মাতুব্বরের বাড়ি থেকে নিঁেখাজ মেয়েকে নিয়ে গন্তব্যে ফেরেন বাবা-মা। নিখোঁজ সালমা ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের নাছির হাওলাদারের বড় মেয়ে।

ছালমার মা জুলেখা বেগম জানিয়েছেন, গত চার মাস আগে অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ভোলা থেকে বরিশাল নেয়া হয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মেয়েটি হারিয়ে যায়। তখন থেকেই আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খুজঁতে থাকেন। তিনি আরও বলেন, ছালমা মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাংগা গ্রামের রুহুল মাতুব্বরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে এমন সংবাদ মোবাইলে পাই। পরে মঙ্গলবার রাতে রুহুল মাতুব্বরের বাড়িতে এসে রাত্রিযাপন করে বুধবার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি রওয়ানা হই।

ছালমার আশ্রয়দাতা রুহুল মাতুব্বর জানান, অনেকটা অসচেতন, রোগাক্রান্ত অবস্থায় পাগল ভেবেই বাড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়। কথা বলতে না পাড়া মেয়েটিকে তার স্ত্রী মাতৃস্মেহে সেবা করতে থাকে। কিছুটা সুস্থ হলে নাম ঠিকানা বলতে শুরু করে। বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানালে তারা মেয়ের বাবার সাথে যোগাযোগ করেন। বুধবার ছালমা তার বাবা-মায়ের সাথে বাড়িতে চলে গেছে।

ছালমার বাবা নাছির বলেন, আশ্রায়দাতা রুহুল মাতুব্বরের মোবাইল ফোনে মেয়ের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হই। ছালমা তিন সন্তানের জননী শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে পরে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, ছালমার আশ্রয়দাতা রহুল মাতুব্বর বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন। পরে মেয়েটির সাথে কথা বলে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়। বুধবার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান জানান, নিখোঁজ মেয়েটিকে স্থানীয়ভাবে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে এমনটা শুনেছি।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি