পাবনার চাটমোহরে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে এক নারী ও তার কথিত প্রেমিককে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে এলাকাবাসীরা। এ ঘটনা পর ওই নারীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ বুধবার ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কুকড়াগাড়ী গ্রামের রেজাউল করিম মঞ্জু (৪০), মোতালেব হোসেন (৪০), আলিফ হোসেন (৩২), জমিন উদ্দিন (৩২), মুক্তার হোসেন (৩৪), আলম হোসেন (৪০), কালু প্রামানিক (৩০), আয়নাল হোসেন (৪০) ও মামুন হোসেন (৩০)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দশটার দিকে কুকড়াগাড়ী গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী (৩৫) ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩৮) ওই নারীর বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়-এমন অভিযোগ তুলে ছাইকোলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাবসহ গ্রামবাসী তাদের আটক করে। পরে দু’জনকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ইউপি সদস্যসহ দশজন গ্রামবাসীকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে ওই নারী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব ও ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ১৭ জন নামীয়সহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ গ্রামের ৯ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এদিকে, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাইফুল ইসলাম ওই নারীর কাছে এক হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকা আনতেই মুলত মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে যান। ঘরে বসে কথা বলার সময় গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি তাদেরকে আটক করে কোনো কিছু না শুনে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে দু’জনের মাথার চুল কেটে দিয়ে বেঁধে রাখে। গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নারীকে মারপিট ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় ভুক্তভোগী সাইফুল ও মেম্বারকে অভিযুক্ত না করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। যৌণ হয়রানী নির্মূল করণ নেটওয়ার্ক, পাবনা নারীকে নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।