পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে আটকে পড়ে বিশাল আকৃতির জীবন্ত একটি কচ্ছপ। বৃহস্পতিবার সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকের বালুচরে এ কচ্ছপটি স্থানীয় লোকজনের দেখতে পায়। প্রায় ২৫ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির কচ্ছপটির ডান পাশের একটি পা (হাতা) নেই। এটিকে এক নজর দেখার জন্য পর্যটকসহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ ভীড় করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা জানা গেছে, করোনা পরিস্থির কারনে এখন তেমন কোনো পর্যটক আসছে না। ফলে সৈকত প্রায় পর্যটকশূন্য। বৃহস্পতিবার ট্যুরিজম ব্যাবসায়ী কে এম বাচ্চু এ কচ্ছপটি দেখতে পান। পরে তিনি সেটি উদ্ধার করে টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তরর করেছেন। কচ্ছপটি অসুস্থ এবং ডান পায়ে ক্ষত চিহৃ রয়েছে। তবে আটকে পড়া কচ্ছপটিকে সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় জেলে মো.বেলাল বলেন, এ কচ্ছপটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং একপর্যায়ে জাল ছিঁড়ে মুক্ত হয়। পায় ব্যাথা পাওয়ার করনে অসুস্থ হয়ে তীরে চলে আসে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এক সময় অসংখ্য বিশাল আকৃতির কচ্ছপ ডিম পাড়তে বালুচরে উঠতো। তখন সৈকতের পাশে বনবিভাগের সংরক্ষিত বন ছিল। আবার নিরাপদে ডিম পেড়ে সমুদ্রে চলে যেত। বন ধ্বংস হয়ে যাবার পাশাপাশি সৈকতে জনসমাগম বেড়ে যাবার কারনে এখন বড় আকারের কচ্ছপ দেখা যায় না। তার মতে এটি আহত হয়ে ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকতে আশ্রয় নিতে উঠতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক এসআই মাহামুদ হোসেন মোল্লা বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি বন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আটকে পড়া কচ্ছপটিকে সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিনিয়েছেন।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি