এই প্রথম আরাফাতের ময়দানে বাংলা ভাষায় পবিত্র হজের খুতবা বা ভাষণ দেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ বছর সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র হজ। প্রতিবছর ৯ জিলহজ মক্কার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেওয়া হয়। সাধারণত এ খুতবা আরবিতে দেওয়া হয়। তবে এ বছর আরবির পাশাপাশি বাংলাতেও পবিত্র হজের ভাষণ দেওয়া হবে।

গ্র্যান্ড মসজিদ ও মদিনা মসজিদে নববীর জেনারেল অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ড. আবদুল রহমান বিন আবদুল আজিজ আল সুদাইস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আরবি ও বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রুশ ও হাবশি ভাষাতেও খুতবা দেওয়া হবে।

চলতি বছর করোনা মহামারীর কারণে বিপাকে পড়েছে সৌদি। আগের মতো বিশাল পরিসরে এবার হজ পালন হচ্ছে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই থেকে হজ পালনকারীদের আইসোলেশনের মাধ্যমে এবারের কার্যক্রম শুরু হয়। সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানায়, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী এবার বিশেষ শর্তে মুসল্লিদের হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। হজের সময় যেন কোনোভাবে করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিনা অনুমতিতে মক্কা ও এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ জুলাই বিকালে দেশটির আল কাসিম প্রদেশ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে হজযাত্রীদের একটি দল জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। এ সময় হজযাত্রীদের কবুল হজ নসিবসহ তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়ায় গোনাহ থেকে মুক্তির পাশাপাশি করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনা করা হয়।

গতকাল শনিবারের মধ্যে সৌদি আরবের অন্যান্য প্রদেশের হজযাত্রীদেরও মক্কায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। মক্কায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা নির্দিষ্ট হোটেলে আরও চার দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করবেন। এর পর ৮ জিলহজ বাদ ফজর রওনা হবেন মিনায়। মিনাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এর পর ১২ জিলহজ পর্যন্ত, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়।