গাজীপুরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের নামে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মানহীন বিভিন্ন পণ্য অনুনমোদিতভাবে রিপ্যাকিং করে বাজারজাত ও মজুদ করার অপরাধে এক ক্যামিকেল কারখানাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ওই অবৈধ কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এছাড়াও দু’মাদকসেবীকে এক মাসের করে সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা করেছে আদালত। রবিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিষা রাণী কর্মকার পৃথক অভিযানে এ দন্ড প্রদান করেন।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিষা রাণী কর্মকার জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পুবাইল থানাধীন খিলগাঁও এলাকার কাইজেন পাওয়ার কেমিকেলস প্রোডাক্টস নামের একটি কারখানা বেশ কিছুদিন ধরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াশসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন মানহীন পণ্য অনুনমোদিতভাবে রিপ্যাকিং করে বাজারজাত ও মজুদ করে আসছিল। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ড্রামে ভর্তি এসব গুণগত মানহীন ক্যামিকেল অনুনমোদিতভাবে এ কারখানায় আনা হতো। পরে এসব ক্যামিকেল বাজার হতে কেনা বোতল ও প্যাকেটজাত করে ওই কারখানার নিজস্ব নামে অবৈধভাবে বাজারজাত করা হচ্ছিল। করোনা মহামারীর সুযোগে আর্থিকভাবে লাভবান হতে তারা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নামে এসব পণ্য সামগ্রী বাজারজাত করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে রবিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী মজুদ পাওয়া যায়। পরে আদালত স্বাস্থ্য সুরক্ষার পন্য রিপ্যাকিং, মজুদ ও বাজারজাত করার অপরাধে ড্রাগ অ্যাক্ট’র ধারায় ৫০হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ৫হাজার টাকাসহ মোট ৫৫হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে। এসময় ওই কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

তিনি আরো জানান, একই এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় দু’মাদকসেবীকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের প্রত্যেককে এক মাসের করে সশ্রম কারাদন্ড ও ৫শ’ টাকা করে জরিমানা করে। অনাদায়ে তাদেরকে আরো ৭দিনের করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানার খরতৈল এলাকার মৃত রফিক খন্দকারের ছেলে কাজল খন্দক্র (৫০) ও একই থানার সাতাইশ এলাকার মোঃ রিয়াজুলের ছেলে মোঃ হানিফ (৩০)। এ অভিযানে সেনেটারী ইন্সপেক্টর, ড্রাগ সুপার, ব্যাটালিয়ন আনসার ও পুলিশের সদস্যরা সহযোগীতা করেন।