রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত রিয়াজের বাম হাতের ক্ষতবিক্ষত কব্জি কেটে ফেলেছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অস্ত্রোপচারের সময় তার কব্জি কেটে ফেলা হয়। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। একজনকে চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা রুমি ও সিভিল রিয়াজকে ভর্তি রাখা হয়েছে। রিয়াজের বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে।

এ ছাড়া তার ডান হাতের একটি আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটিও রাখা যায়নি বলে জানান ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি আরও বলেন, তার পেটে বড় ধরনের ইনজুরি আছে। আর পুলিশ কর্মকর্তা রুমির পা ও হাতে জখম রয়েছে। তারা সবাই স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবী থানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। বিস্ফোরণে আহতরা হলেন-পল্লবী থানার ওসি তদন্ত পুলিশ পরিদর্শক ইমরান (৪৮), এসআই সজীব (৩০), পিএসআই অঙ্কুশ (২৮), পিএসআই রুমির (২৮) আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রিয়াজ (২৮) নামে একজন আহত হয়েছেন।

বর্তমানে রুমি ও রিয়াজ জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। পিএসআই অঙ্কুশ চক্ষু হাসপাতালে আছেন। ওসি তদন্ত ইমরান ও এসআই সজীব প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন জানিয়েছেন, পল্লবী থানা পুলিশ দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের কাছে ওজন মাপার মেশিনের মতো একটা যন্ত্র ছিল। ওই যন্ত্রটি ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা হলে তা বিস্ফোরিত হয়। তিনি আরও জানান, আটক হওয়া সন্ত্রাসীরা ভাড়াটে খুনি। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, তারা পল্লবীর স্থানীয় একজন রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।