কক্সবাজারের টেকনাফে শামলাপুরস্থ মেরিনড্রাইভ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে’ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (২ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন কক্সবাজার জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি।

পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনার জেরে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ২০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের ইতোমধ্যে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে নতুন করে আরও ২০ পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (৩৬) নিহত হন। তার ওপর গুলি চালান বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত।