পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মা নাসিমা আক্তারকে ফোন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সিনহা রাশেদের মাকে ফোন করেন, এসময় তাকে সমবেদনা এবং সান্ত্বনাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

নিহত রাশেদের পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য জানান। এ ছাড়া নাসিমা আক্তারও গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশিআচত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। তিনি আমার ছেলের এমন মৃত্যুতে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রী ফোনে নাসিমাকে বলেন, ‘আমিও একই পথের পথিক। আপনাবে কিছু বলার মতো ভাষা আমার নেই। আমিও পুরো পরিবার হারিয়েছি।’

সিনহা রাশেদকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে কক্সবাজারমূখী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদের ব্যক্তিগত গাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে পৌঁছালে সেটি তল্লাশি করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয়। পুলিশ তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বললে তিনি হাত তুলে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলি তাকে গুলি করে হত্যা করেন বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনহা মো. রাশেদ হঠাৎ করে তার কোমরের ডান পাশ থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার জন্য উদ্যত হলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী নিজের এবং সঙ্গে থাকা অফিসার ফোর্সদের জানমাল রক্ষার জন্য চারটি গুলি করেন।