কলাপাড়ায় লালুয়া ইউনিয়নের বানাতীবাজারে এক ভারসাম্যহীন এক মহিলার ১টি পা পচন ধরে কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৩৫০টি পোকা হয তার পায়ে। দীর্ঘদিন বাজারে থাকার কারণে ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে এলাকাবাসীর সাহায্য ও সহযোগীতা দিয়ে সুস্থ করে তুলছে। মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে বিষয়টি এখন সকলের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস পূর্বে নিজের নাম বলতে পারেনা এমন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজারে আসে। বিভিন্ন দোকান থেকে খাবার সংগ্রহ করে চলছিল তার জীবন। রাত হলে যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়তো। হঠাৎ সেই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পাঁয়ে এক দুরারোগ্য রোগ হয়। তার একটি পাঁ পঁচে তাতে পোঁকায় ধরে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা জোনাব আলী হাওলাদারসহ কয়েকজনের নজরে আসে। মানবিক কারনে তারা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে নেন।

বানাতিবাজারের হাওলাদার ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী পল্লীচিকিৎসক মো: রুবেল হাওলাদার তার চিকিৎসা করেন। এতে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ মহিলা সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্থানীয় বাসিন্দা জোনাব আলী বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ মহিলার একটি পাঁয়ে পঁচন ধরে ও তাতে পোঁকা জন্মায়। এলাকাবাসী মিলে সবার নিকট থেকে টাকা তুলে তার চিকিৎসা করলে এখন মোটামুটি সে সুস্থ রয়েছে।

বানাতিবাজারে অবস্থিত হাওলাদার ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী ও পল্লী চিকিৎসক রুবেল হাওলাদার বলেন, বাজারে এক ভারসাম্যহীন মহিলা অনেক দিন থেকেই অসুস্থতায় ভুগছিল। তার একটি পা পঁচে গিয়ে কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৩৫০টি পোঁকা ধরে। এলাকার বড় ভাই মো: জোনাব আলী বললে মানবতার কথা চিন্তা করে আমি গিয়ে চিকিৎসা শুরু করি এবং নিজহাতে চিকিৎসা করার পর এখন তার পাঁয়ে আর কোন পোকা নেই, ধীরে ধীরে ঘাঁ শুকাতে শুরু করছে।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, মানবতার দিক থেকে এলাকাবাসীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ঐ মানসিক রোগী কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী হলে আমার দপ্তর হতে চিকিৎসার জন্য সহায়তা করা হবে। কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, ইউএনও সাহেব ছুটিতে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও সাহায্য করতে পারবেন।