লেখক নই। একজন শিক্ষক। নানা ঘটনা আর বৈচিত্র্যে ভরপুর ছোট এই জীবন। সেই সব অভিজ্ঞতা, ছোট ছোট স্মৃতি, কিছু ভাবনা, কিছু আশা, কিছু প্রত্যাশা নিয়ে সাজনো আমার এই স্মৃতিচারণমূলক লেখাটি। ১৯৯৪-৯৫ সেশনে আমি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে ভর্তি হই। মনে তখনো, হতাশার চিহ্ন। কেননা হতে চেয়েছিলাম বাবার মত চিকিৎসক, যেটা না হওয়াতে, এবং আমার অত্যন্ত সৎ ন্যয়বান বাবা আমাকে প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াতে কখনোই রাজী ছিলেননা। তাই ভাঙামন নিয়ে সমাজকর্মে আমার পথ চলা শুরু হয়। কিন্তু ক্লাশ শুরু করতে এক সময় আমি আমার এই বিভাগের প্রেমে পড়ে গেলাম। মনে হলো চিকিৎসক হয়ে যে জনসেবার স্বপ্ন দেখতান, তাই সমাজকর্মে পড়েও সম্ভব। তাই বিষয়টা ও তো মানুষের কল্যাণের কথা বলে, মঙ্গলের কথা বলে। আমার দৃস্টিভঙ্গির এই পরিবর্তন পরবর্তীতে আমার অনার্স ও মাষ্টার্সে ভালো রেজাল্ট করতে সহায়তা করে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রতিটি পরীক্ষাতে ১ম শ্রেণি অর্জন করেই উত্তীর্ণ হতে থাকি। এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে প্রথম শ্রেণি পাওয়টা অনেকটা কঠিন ব্যাপার বটে।

আজ যখন পিছনে ফিরে তাকাই আমি চিন্তা করি কেমন ছিল আমার সে পথটা? খুব সহজ ছিল না। ডিফেন্সে বড় হওয়া দেশের ৬টি ভাল স্কুলে পড়। সে মেয়েটির বাহিরের পরিবেশে পড়তে এসে পদে পদে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছে। সে দেখেছে, একটা মেয়ে যখন ক্লাশে প্রথম হয়, তার তথাকথিত পুরুষ সহপাঠীদের বিরুপ-প্রতিক্রিয়া। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বিচিত্র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, কখনো তাকে বিব্রত করে, কখনো ফটোকপিতে কপি করতে দেওয়া নোট চুরি করে। মেয়েটি যখন ছুটিতে তাঁর বাবা-মার কাছে ঢাকা যেত। সে ঘরে বসে থাকতো না, তাঁর কাজই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবকিল লাইব্রেরীতে বইয়ের রাজ্যে ডুব দেয়া। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, ১ম বর্ষে ভালো করার সুবাদে, স্বল্প সংখ্যাক এই ছাত্রছাত্রীর ক্যাম্পাসে ‘ম্যাডাম’ উপাধি হয়ে গেল ছাত্রী থাকাকালীন সময়েই। সে যাই হোক চড়াই উৎরাই পার হয়ে, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে আমার মাষ্টার্সের ফল বের হয়। ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান লাভ করে রেজাল্ট বের হবার এক মাসের মাথায় ১৬ জনের সাথে প্রতিযোগীতা করে ভাইবা বোর্ডে ১ম হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে যোগদান করি ২৪ বছর বয়সে। শুরু হয় নতুন এক পথচলা।

আমার এই ভাল ফলাফল এর প্রভাব কিন্তু আমার পুরো পরিবারের ছোট ভাইবোনদের প্রভাবিত করে। ততদিনে দেখছি, আমার ছোট বোন, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ববিদ্যার ছাত্রীও অনার্সে প্রথম শ্রেণি লাভ করে। আমার চাচাতো বোন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলের ছাত্রী সেও ভাল রেজাল্ট করে। এখানে একটু বলা প্রয়োজন যে, এক্ষেত্রে মেয়েদের ভাল ফল করার পেছনে আমাদের বাবা চাচাদের অবদান। যারা বরাবরই উৎসাহ ও সাহস দিয়েছেন। মেয়ে বলে কখনোই অবহেলা করেননি। আমাদের পরিবারে সবসময় মেয়েদের ক্ষমতায়ন ছিল। আমরা সমান সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। বিশেষত আমার বাবা মরহুম লে. কর্নেল (অব.) ডা. নূরুল ইসলাম কখনোই আমাদের দু বোনকে দূরে পড়াতে পাঠাতে দ্বিধা করেননি। পড়াশোনার জন্য কখনোই কার্পণ্য করতে দেখিনি। ২০০১ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারিতে আমার নতুন পথচলা শুরু হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক হিসেবে। অনেক স্বপ্ন অনেক মমতা, অনেক প্রত্যয় নিয়ে। যে বিভাগের ছাত্র ছিলাম, সেই বিভাগের জুনিয়র ফ্যাকাল্টি হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। শিক্ষক হিসেবে যাদের পেয়েছিলাম, তাদের মমতায়, তত্ত্ববধানে ধীরে ধীরে নিজেও একজন শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে শুরু করি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের চেয়ে সমাজকর্ম বিভাগের সুনাম অনেক বেশি। এখানে নিয়মিত ক্লাস, সময়মত রেজাল্ট প্রকাশ, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক সবমিলিয়ে দারুণ কেটেছে সে সময়গুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশার কারণেই উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। আমাকেও মনে হলো সেই পথে হাটা উচিত। টোফেল, IELTS এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। ইংল্যান্ডের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফারও এলো। কানাডার কার্লটন বিশ^াবদ্যালয়ে (Carlton University) অফার লেটার এলো। কিন্তু যাওয়া হলোনা। বৃত্তির সুযোগ না থাকায়, অন্যান্য পারিপার্শি¦ক কারণে আমার উচ্চশিক্ষার পথ যেন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছিল। আমি দমে যাইনি। যত বাঁধা এসেছে, আমি তত চেষ্টা চালিয়েছি এগিয়ে যাওয়ার। এভাবে ২০০৭ সালে আমি সুইডেনের গোটেবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এস কোর্সে সুযোগ পেয়ে যাই। ততদিনে আমার বাবা বেঁচে নেই। বাবাহীন আমি, পরিবারের সমর্থন নিয়ে ২০০৭ সালে আগস্টে সুইডেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। জীবন যে কত সুন্দর হতে পারে তা এই সময়ে আমি অনুভব করতে পারি। এখানে আমার এক মাসের মাথায় একটা স্কলারশীপ পেয়ে যাই। ফলে এক বছরে সুইডেনের পাশাপাশি একে একে, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্য ঘুরার সুযোগ লাভ করি। আমি যখন যুক্তরাজ্যে বেড়াতে আসি, আমার মনে আছে আমার এক বয়ষ্ক আতœীয় জিজ্ঞেসা করেছিলেন ‘আর কত পড়তায়গো মাই?’ তখন বুঝেছিলাম, এখনো আমাদের সমাজে মেয়েদের উচ্চশিক্ষাকে বিলাসিতা ধরা হয়। সামজ কি একটা মেয়েকে সংসার আর রান্নাঘরে দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে? একটা মেয়েও নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারে। ২০০৮ সালে এমএস ডিগ্রি সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসি। অনেক স্বপ্ন আর বিভাগের জন্য কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে। দেশে এসে চিন্তা হলো, যা করেছি সব নিজের জন্য, সমাজ-রাষ্ট্রের জন্য কিছু করা দরকার। বাধ সাধলো অসুস্থতা, আমি আবারো পিছিয়ে পড়তে শুরু করলাম। শারীরিক অসুস্থতাকে জয় করতে না করতেই মনের ওপর এলো নানারকম ঝড়-ঝাপ্টা। জীবনের বেশ কিছু সময় হয়তো নস্টই হলো। তবে আমার স্বপ্ন, আমার কমিটমেন্ট তা থেকে দূরে সরাতে পারেনি। জীবন থেকে কিছুটা সময় চলে গেল মাত্র।

আমি কখনো পরাজয়কে মেনে নেই নি। পরাজিত হবার জন্য আমার জন্ম হয়নি। বিভিন্ন সময়ে আমার ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে আসতো নানা সমস্যা, আর দুখ, কষ্ট নিয়ে সমাধানের পথ দেখিয়ে দিতাম। এক সময় Masters-এ “Counseling” কোর্স পড়ানো শুরু করি। এটা পড়াতে গিয়ে মনে হলো, আমিতো এটা নিয়ে formally কাজ করতে পারি। বিভাগের শিক্ষক ছাত্রদের সহায়তায় ২০০৯ এ যাত্রা শুরু করলো counseling centre-এর। খুব অল্পসময়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে-এর তথ্য পৌঁছে গেল। প্রতিদিন আমার কাছে অসখ্য ছাত্রছাত্রী আসা শুরু করলো। এ কাজে ব্যাপক সাড়া পেলাম। উৎসাহ পেলাম। আমি নিজের মতো করে এই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছি। ভীরু ভীরু চোখে, কস্ট নিয়ে যেসব ছেলে মেয়েরা আসতো, পরে যখন একমুখ হাসি নিয়ে রুম হতে বের হয়ে যেত, কী যে আনন্দ লাগতো! এমনও হয়েছে বিসিএস-এর রেজাল্ট দিয়েছে আমার এক ছাত্রী আমাকে সালাম করতে এসেছে তাঁর প্রশাসন ক্যাডারে হয়েছে। সে একসময় আমার থেকে কাউন্সিলং নিয়েছিল। আজ সে একজন সরকারি আমলা। যে ছেলেটি ছিল মুখচোরা, হীনমন্যতায় ভুগতো, সে এখন বড় পুলিশ অফিসার। আমার যে ছাত্রটি চোখ ভিজিয়ে, হতাশায় ডুবেছিল সে এখন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার। এ যে, কি খুশির তা বলে বোঝানো যাবেনা।

এরপর থেকে কীভাবে যেন সিলেট ও ঢাকার কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে Counseling-এর উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ডাক পেতে শুরু করলাম। সিলেটে সামজসেবা অফিস, সেফহোম, সীমান্তি ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ঢাকা এ রকম বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমেয়াদী ট্রেনিং দিতে শুরু করলাম। এছাড়া বিখ্যাত Room To Read এর কলসালট্যান্ট ট্রেইনার হিসেবে ২ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। এরপর সিলেটের নানা ধরনের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে ডাক পেতে শুরু করি। কখনো প্রশিক্ষক হিসেবে, কোথাও মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে, কখনো আলোচক আবার কখনো বিশেষ বা প্রধান অতিথি হিসেবে। এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে motivational program এ আলোচক হিসেবে অংশ নেই। সিলেট জালালাবাদ সেনানিবাসের সেনা অফিসারদের বিশেষ ট্রেনিংয়ের facilitator হিসেবেও অংশ গ্রহণের আমন্ত্রণ পাই। এর মাঝে উল্লেযোগ্য অর্জন সিলেট টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়া। বর্তমানে আমি সিলেট সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের কার্যকরী বোর্ডের সদস্য ও ব্র্যাকের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি (মেজনিন) এক একজন সদস্য। লিডিং ইউনির্ভাসিটির যৌন নির্যাতন ও নিরোধ কেন্দ্রের একজন সদস্য। এইসব কাজ করতে করতে কিছু দেরিতে হলেও আমার নিজগ্রাম খাদিমপুরের অগ্নি-বীণা ছাত্র ও কল্যাণ সমিতির পরিচয় হয়। তাদের আগ্রহ ও উৎসাহে আমি ২০১৪ সাল থেকে এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হই। আমার এই আনন্দ অপরসীম। এই সংগঠনটি আমাকে নিজ গ্রামের সাথে পুনরায় সেতুবন্ধন তৈরি করে দেয়। তাদের নানা কর্মসূচিতে আমি আগ্রহ নিয়েই যোগ দেই। নিজের গ্রামের মাটিতে বৃক্ষরোপণ, পুরস্কার প্রদানের আনন্দ যে অন্যরকম। আমার বাবা তাঁর গ্রামকে অনেক ভালবাসতেন। অগ্নি-বীণা আমাকে সেই ভালবাসা অনুভব করার সুযেগ করে দিয়েছে। ধন্যবাদ অগ্নি-বীণাকে।

আমি একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। নিজে স্বপ্ন দেখি, অন্যদেরও স্বপ্ন দেখাই। আমি অনেক স্কুল কলেজে এই স্বপ্ন ছড়ানোর অভিযান নিয়ে কাজ করি। আমি স্বপ্ন দেখি গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মেয়ে শিক্ষিত হবে। সমাজে তারা নিজের পরিচয় নিজেই তৈরি করবে। পরিবার ও সমাজের জন্য সম্পদ হবে। সমাজে থাকবেনা কোনো নারী নির্যাতন, কোনো বৈষম্য। কোনো ক্ষতিকর প্রভাব। প্রতিটি মেয়ে পাবে তাঁর যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা। সম্প্রতি আমার ছোটবেলার আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। মালয়েশিয়ার ইডনিভার্সিটি অব মালায়াতে পিএইচডি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে। আমার গবেষণার বিষয় এসিড দগ্ধ নারী। ¯্রষ্টাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো কিছু দিয়ে আমাকে পূর্ণ করে দিয়েছেন। দেশ ছেড়ে মালয়শিয়ায় এসেছি বেশ কিছু দিন হলো, পেছনে আছেন পরিবার, পরিজন আমার হাজারো ছাত্রছাত্রীর ভালবাসা। অসখ্য মানুষের ¯েœহ, মমতা। মহিয়ষী নারী হেলেন কেলারের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে ‘¯্রষ্টা আমাকে এত কিছু দিয়েছেন যে, কি দেননি তা নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই’ আমি জানি খুবই সামান্য একজন নারী মাত্র। আমি বেগম রোকেয়া, মাদার তেরেসা, হতে পারিনি। কিন্তু তাদের আদর্শকে ধারণ করার চেষ্টা করি।

আমার এই ছোট জগতে আমি সর্বেস্বর্বা। হাজারো সন্তানরূপী ছাত্রছাত্রীর মমতাময়ী মা আমি, আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে যাই। খুব ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতাম অনেক বড় হবো। একজন আলোকিত মানুষ হবো। আলো ছড়াবো, হয়তো তেমন কেউ হতে পারিনি, আমার সামর্থ্য খুব সীমিত, কিন্তু মানবতার জন্য, অসংখ্যা নারী ও শিশুদের জন্য, নিজের জন্মভূমির জন্য, নিজের চারপাশের অসহায় মানুষগুলোর জন্য কিছু করার বাসনা আমাকে আজো তাড়না দেয়। আর এভাবে জীবনের বাকীটা পথ চলতে চাই। আমার চারপাশের মানুষের দোআ নিয়ে, ভালোবাসা নিয়ে, এখনো অনেক পথ বাকী, ভেতরে যে স্বপ্ন লালন করি, প্রভু যেন আমাকে তা পূরণের সামর্থ্য দান করেন। আমি যেন হতে পারি লাখো মানুষের ভরসাস্থল। হতে পারি হাজারো মেয়ের প্রেরণার রোল মডেল। লাখো মানুষের ভালোবাসায় আমি যেন চিরবিদায়ে নিতে পারি।

তাহমিনা ইসলাম, সহযোগি অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।