টিকটক ও উইচ্যাটের চীনা মালিকদের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি সরকারি আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিষিদ্ধ করার আইনি কর্তৃত্ব তার রয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বার্তা সংস্থা এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের হুমকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় আইনপ্রণেতারাই সেন্সরশিপ, ভুল তথ্য প্রচার, ব্যবহারকারীর তথ্য এবং শিশুদের গোপনীয়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টিকটক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তবে টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা চীনা সরকারকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি ট্রাম্প প্রশাসন।

এর আগে টিকটকের মার্কিন অংশ কিনে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় মাইক্রোসফট। সংস্থাটি জানায়, তারা জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটকের মার্কিন অংশ কিনে নেওয়ার জন্য চীনা সংস্থা বাইটড্যান্সের সঙ্গে আলোচনা করছে।

এক প্রতিবেদনে এপি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ জাতীয় অধিগ্রহণকে ঘিরে তার নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ এবং সেন্সরশিপ বিষয়েও আলোচনা করেছে সংস্থাটি।

বাইটড্যান্সের সঙ্গে আলোচনা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে বলে নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

এর আগে চীনা মালিকানায় থাকা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিবিসি জানায়, চীনা সংস্থা বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এ অ্যাপটি মার্কিনিদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করে জুন মাসের শেষ দিকে বিতর্কিত টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। অ্যাপ্লিকেশনটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আট কোটি সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারী রয়েছেন এবং এ নিষেধাজ্ঞা বাইটড্যান্সের জন্য এক বড় ধাক্কা হবে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করছি।’

টিকটকের মুখপাত্র হিলারি ম্যাককুইড যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও ওয়াশিংটন পোস্টে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি ‘টিকটকের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী’ হওয়ার কথা জানান।