কুয়াকাটায় “মহামারি করোনা দুর্যোগে আদিবাসীদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম -জীবন-জীবিকার সংগ্রামে আদিবাসীরা” ”-এ স্লোগানকে সামনে রেখে আর্šÍজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপিত হয়েছে। রোববার কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে কলাপাড়া উপজেলা আদিবাসী দিবস উদযাপ কমিটি উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

আদিবাসী দিবস উদযাপ কমিটির সভাপতি মংম্যাচিং মাষ্টার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর তোফায়েল আহম্মেদ তপু। বিশেষ অতিথীর বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের সহকারি অধ্যাপক ও প্রেসক্লাবের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক খান এ রাজ্জাক প্রমুখ। প্রধান আলোচক হিসেবে প্রবন্ধ পাঠ করেন রাখাইন অধিকার আন্দোলন কর্মী মংম্যা। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন রাখাইন উন্নয়ন কর্মী উচোমেন।

এসময় বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলের আদিবাসী রাখাইনরা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। শিক্ষা-দীক্ষা, নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-কালচার থেকে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। প্রাকৃকিত খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। মুলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের পাশাপাশি এ জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক হতে হবে। আদিবাসীদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে কুয়াকাটায় একটি আদিবাসী জাদুঘর নির্মাণের কথাও বলেন। উপস্থিত রাখাইনরা আদিবাসী মন্ত্রনালয় গঠন ও ভুমি অধিকার রক্ষায় বিশেষ কমিশন গঠনে সরকারকে অনুরোধ করেন।

কলাপাড়া উপজেলা আদিবাসী দিবস উদযাপ কমিটির সভাপতি মংম্যাচিং মাষ্টার তার সমাপনি বক্তব্যে বলেন, কুয়াকাটাসহ আদিবাসী অধ্যুষিত স্থানে রাখাইনদের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হোক এ দিবসের মুল লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন, বেদখলে যাওয়া শ্বশান পুনরুদ্ধার, দেবালয়ের সম্পত্তিতে অন্য সম্প্রদায়ে নামে ভুমিহীন বন্দোবস্ত বাতিলের দাবী তোলেন। আলোচনা সভায় কলাপাড়া উপজেলার একাধিক রাখাইন পল্লীর অর্ধশত রাখাইন নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি