বঙ্গবন্ধুর সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার সকালে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, বঙ্গবন্ধুর সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করতে হবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

যারা শোক দিবসে কেক কেটে জন্মদিন পালন থেকে সরে এসেছে, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জনগণ এতে স্বস্তি পেয়েছে। তারাও বিভ্রান্তকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয় আজ সকাল ৮টা থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন।

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দলীয় কর্মসূচি সীমিত আকারে পালন করার কথা থাকলেও ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দলীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

সকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলের নেতারা।