সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি বিমানবন্দরে গতকাল শনিবার ভোর ৫টা থেকে এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের ৫১ জন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৮১ জনসহ মোট ১৩২ জন যাত্রী আটকা পড়ে আছেন। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গতকাল রাতে যাত্রীদের হোটেলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আবুধাবি ইমিগ্রেশন। তাদেরকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এয়ারলাইন্স যাত্রীদের নিয়ে আসার আগে আবুধাবি ইমিগ্রেশন থেকে API (Advances passengers Information) নিতে হয়। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ যেসব এয়ারলাইন্সে করে যাত্রীরা এসেছেন সে এয়ারলাইন্সগুলো আবুধাবি ইমিগ্রেশন থেকে API দিয়ে অনুমতি নেয়নি, যে কারণে এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা যায়।

যাত্রীদের বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ আবু জাফর বলেন, ‘আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা সবাই সেখানে রয়েছেন। শনিবার রাতে দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন। তাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যাদের কারণে আমার প্রবাসী ভাইয়েরা লম্বা সময় ধরে কষ্ট পাচ্ছে তাদের ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমার প্রবাসী ভাইয়েরা এভাবে কষ্ট পাবে সেটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্ছ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এয়ারলাইন্সগুলোকে যাত্রী নিয়ে আসার আগে আমিরাত সরকারের শর্তাবলী মেনে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমিরাত হচ্ছে আইনের শাসনের অন্যতম একটি দেশ। তাই তাদের আইনের পরিপন্থি হওয়ায় বিষয়টি সমাধানে সময় লাগছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে আবুধাবি ইমিগ্রেশনও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে। দেখা যাক, আল্লাহ ভরসা।’ বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি, আরব আমিরাত দূতাবাস ঢাকা, আবুধাবি ইমিগ্রেশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ যৌথভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। আটকে থাকা একজন যাত্রী টেলিফোনে জানান, ‘আজ রোববার সকালে আমাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। আমার নেগেটিভ।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা একটু দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করুন। আমরা আর টেনশন নিতে পারছি না।’