নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে এমভি আক্তার বানু নামে একটি জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জাহাজের ১৪ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে হাতিয়ার বুডিরচর ইউনিয়নের সূর্যমূখী ঘাটের জেলেরা।

আজ রোববার দুপুরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে আসলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় কোস্টগার্ড সবাইকে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের।

বুডিরচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রিমন উদ্দিন জানান, জাহাজ দুটি ডুবে যাওয়ার পর নাবিকরা সবাই নদীতে ভাসছিল। পরে হাতিয়ার সূর্যমূখী ঘাটের জেলে ও বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল গনী মাঝির মাছধরার ট্রলারে জাহাজের মাস্টার জিয়াউল হকসহ সবাইকে উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে আসে। ঘাটে আসার পর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে কোষ্টগার্ডের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সবাইকে হাতিয়া স্বাস্থা কমপ্লেক্সে নেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলার ভাসান চরের কাছে বঙ্গোপসাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এমভি আক্তার বানু ও এমভি সিটি-১৪ নামে দুটি মালবাহী লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। গতকাল সন্ধ্যায়ই এমভি সিটি-১৪ নামক জাহাজটির ১২ জন ক্রু-কে উদ্ধার করা হয়। আজ এমভি আক্তার বানু জাহাজের ১৪ জন নাবিককেও উদ্ধার করা হয়।

কোষ্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার বিশ্বজিত বড়ুয়া জানান, জাহাজ দুটি ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া নাবিকদের জেলেদের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে আক্তার বানু-১ কার্গো জাহাজের ম্যানেজার রাজু সাহ জানান, জাহাজের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।