সমগ্র দক্ষিন উপকূলে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগেরের তীরে আচঁড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। বৈরী আবহাওয়ার কারনে উপকূলীয় কলাপাড়ায় গত দু’দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও দমকা হওয়া বইছে। রবিবার থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে তীরে ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর আড়ৎঘাটে শত শত ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

খেপুপাড়ায় অবস্থিত আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্রে নি¤œচাপের কারনে বৈরী আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পায়রা সমুদ্র বন্দরে কয়েকদিন ধরে তিন নাম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত অব্যাহত থাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা ট্রলার গুলোকে পরবর্তী সংকেত না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ প্রজনন রক্ষায় ৬৫ দিনের অবরোধের পর গত দু’সপ্তাহ আগে জেলেরা সমুদ্রে ইলিশ শিকারে গিয়ে কম-বেশী সকল ট্রলারের জেলেরা ইলিশ শিকারে সক্ষম হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অপেক্ষাকৃত বড় বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ ধরা পড়লেও হাজার হাজার জেলেরা সমুদ্রে থাকা অবস্থায় বাঁধ সাধে প্রতিকূল আবহাওয়া। ক্রমান্বয়ে সাগর উত্তাল হতে থাকায় প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরেছে এসব জেলেরা। আবহাওয়া খারাপের কারনে মাছ না থাকায় ব্যাবসা বানিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারা মালামাল আমদানি করলেও কাংখিত বেচা-বিক্রি নেই। তবে আবহাওয়ার উন্নয়ন হলে এবছর ভাল সাইজের ইলিশ মিলবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

জেলে মো: জালাল বলেন, কুয়াকাটা থেকে অন্তত: ৪০ কিলোমিটার গভীরে সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। তারা সমুদ্রে টিকতে না পেরে জাল গুছিয়ে তীরে নিরাপদে ফিরেছেন।জেলে মো: কাওসার বলেন, কেবল ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। তারা ৮ জন জেলেসহ নিরাপদে ফিরেছেন বলে তিনি জানিয়েছে।

মহিপুর মৎস্য আড়ৎ আল্লাহ ভরসা’র স্বত্তাধিকারী মো.তানভির আহম্মেদ লুনা বলেন, দু’দিন ধরে কোন মাছ নেই। সকল ট্রলারগুলো নোঙ্গর করা অবস্থায় ঘাটে রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে এসব ট্রলার আবার সাগরে যাবে।

আলীপুর ও কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো: আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। সব ট্রলারই এখন ঘাটে রয়েছে বলে তিনি জানান।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি