দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোকে নিবন্ধন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে স্কুল পরিচালনা বিধিমালা পুরোপুরি মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের ৫ জুন নির্দেশিত ১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রেশন অব প্রাইভেট স্কুলস অর্ডিনেন্সের ক্ষমতা বলে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নীতিমালা-২০১৭ মোতাবেক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ওই নির্দেশনার আলোকে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিলেও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। ওই বিধিমালার আবেদন ফরম ‘ক’ অনুযায়ী তথ্যাবলী পূরণ করে নির্ধারিত ফিসহ আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিধিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনের শর্ত মোতাবেক কমিটি গঠন করে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠানগুলো (ইংরেজি মাধ্যম) বোর্ড থেকে কোনো কমিটি অনুমোদন না করিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের আবেদন করতে অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতি মাসে বা বছরে শ্রেণিভেদে আদায় করা টিউশন ফি, ভর্তি ফি, খেলাধুলা ফি, গ্রন্থাগার ফি, মূদ্রণ ফি এবং অন্যান্য ফি-এর পরিমাণ ও বিবরণ ইত্যাদি বিষয়ে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে উল্লেখসহ অবগত করার বিধান রয়েছে। যা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে না।

বেসরকারি বিদ্যালয়ে সহপাঠ কার্যক্রম পরিচালনা, কোনো বিশেষ সুবিধা এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহারের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দশনায়। তবে এ ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। আর ব্যয় বিবরণী অভিভাবকদের লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে বলে নির্দেশনা থাকলেও প্রতিষ্ঠানগুলো তা পালন করছে না।

এছাড়া আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে চাটার্ড অ্যাকউনটেন্ট দিয়ে প্রতিষ্ঠানের হিসাবনিরীক্ষা সম্পাদন করানো এবং রিপোর্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করার নির্দেশও পালন করা হচ্ছে না। জরুরিভিত্তিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদন এবং উল্লিখিত বিষয়াবলী বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।