করোনাভাইরাস চিরতরে নির্মূল হবে না; কোনও না কোনোভাবে তা চিরকাল থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্য সরকারের একজন শীর্ষ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২ বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস দূর হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করার পরপরই এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্যার মার্ক ওয়ালপোর্ট। সরকারের জরুরি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা দলের এই সদস্য বলেছেন, করোনা থেকে বাঁচতে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ভ্যাকসিন নিয়ে টিকে থাকতে হবে।২১ আগস্ট (শুক্রবার) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস আশা প্রকাশ করেন, দুই বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারির অবসান হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অবস্থানের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে শনিবার ২২ আগস্ট বিবিসি রেডিও টুডে প্রোগ্রামে স্যার ওয়ালপোর্ট বলেন, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই কোভিড-১৯কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে গুটি বসন্ত যেমন টিকার মাধ্যমে চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল, করোনার ক্ষেত্রে তা হবে না বলে মনে করেন তিনি। এজন্য বিশ্ববাসীকে নিয়মিত বিরতিতে করোনার টিকা নিতে হবে।শুক্রবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছিলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুকে পরাস্ত করতে দুই বছর লেগেছিল। প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এখন তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যেই বিশ্ব করোনাভাইরাসকে হটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন তিনি।

১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু’তে কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষ মারা যান। স্যার ওয়ালপোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সেই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা ও যোগাযোগ যে অবস্থায় ছিল আজকে এসে তা একই জায়গায় নেই। তিনি সতর্ক করেছেন, করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিপর্যয় ডেকে আনবে। সুতরাং লকডাউন পরিবর্তে বিকল্প উপায় বের করতে হবে, যেন মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো যায়।এদিকে ইউরোপে করোনাভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও আবার প্রকোপ বাড়ছে। একে উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন স্যার মার্ক। পর্যটকদের আনাগোনার পাশাপাশি অবাধ মেলামেশার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে মনে করেন তিনি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকরী এবং নিরাপদ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।