আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাকে রাজনীতিকীকরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন রিজভী।

এ সময় রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারের সময়ও তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্ট বোমা হামলার মামলাকে রাজনীতিকীকরণ করেছে। এ ঘটনায় স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করা যায়, আওয়ামী সরকার প্রকৃত কুশীলবদের আড়াল করতে চেয়েছে, প্রকৃত সত্যকে ঢাকতে চেয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় খালেদা জিয়ারও। তাহলে আমিও বলি, ২০০৯ সালে পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তরের হত্যাকা-ের দায়ও বর্তায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। কারণ, তিনি সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। ২১ আগস্ট-সংক্রান্ত মামলায় ছয়বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ঘরের ছেলে কাহার আকন্দকে অবসর থেকে ডেকে নিয়ে এসে এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা বোমা হামলা করেছে, তারা আওয়ামী লীগেরই দোসর, যা বোমা হামলার ঘটনা ও পরবর্তী সময়ে আওয়ামী প্রভাবিত মামলার কার্যক্রমে প্রমাণিত হয়। এ কারণেই তারা ক্যালকুলেটেড বোমা হামলা করেছে। তাদের সমর্থক দেশি-বিদেশি এজেন্টরাই এই ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে জনগণ বিশ্বাস করে। এ হামলার উদ্দেশ্য, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সহানুভূতি সৃষ্টি করা এবং বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ গণভিত্তি হারিয়ে ১০৫ ডিগ্রি জ্বরে ভোগা রোগীর মতো এখন প্রলাপ বকছে। এবার এদের আমলে শুরু থেকেই বাংলাদেশের সর্বত্র রক্তগঙ্গা বয়ে যাচ্ছে। সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান ছবিটি যেন শুধুই গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের। মানবিক বাংলাদেশের সেই চিরচেনা ছবি মুছে দিয়েছে বর্তমান সরকার। সারা দেশকে চুষে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার এখন বিএনপিসহ বিরোধীদলকে চিরস্থায়ীভাবে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অমানবিক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে।