করোনা প্রতিরোধে মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঘরের বাইরে গেলে মনে হয় দেশে করোনা কোনও ইস্যুই নয়।রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংক্রমণের বর্তমান পর্যায়ে এসেও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। হাট-বাজার, টার্মিনাল, ফুটপাত, ফেরিঘাট, শপিংমলসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরিধান না করেই চলাফেরা করা হচ্ছে। অনেকে অবহেলা করছেন এবং পাত্তা দিচ্ছেন না। এ অবহেলা ও শৈথিল প্রকারন্তে ভয়ংকর ঝুঁকিতে ফেলতে পারে আমাদের এবং এ জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আমি আবারও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে করোনাবিরোধী প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানাচ্ছি।
কোথাও কোথাও বন্যার পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি বাড়ায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে মূল্যবান সম্পদ ও ফসল হানি ঘটছে। এ অবস্থায় মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্গত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

২১ আগস্টের হামলা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্েযর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলায় বিএনপির জড়িত থাকার অভিযোগ নাকি মনগড়া। আমি ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, যা দিবালোকের মতো সত্য, তা কীভাবে ধামাচাপা দেবেন? উটপাখির মতো মুখ বালুতে লুকালে কী সত্য লুকিয়ে থাকবে? প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা সত্য এবং স্পষ্ট। সত্য বললেই বিএনপির গাত্রদাহ। অন্ধকারের শত্রুরা সত্য সহ্য করতে পারেন না। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যায়, ধামাচাপা দেওয়া যায় না।এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, চলমান পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের পাশাপাশি জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার সিদ্ধান্ত জানাবে।

সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম। অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।