গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শ্রমিকলীগের এক নেতাকে খুন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এসময় পিস্তল ও রাইফেলসহ গুলি এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। নিহতের নাম- ইদ্রিস আলী (২৮)। সে কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের সালুয়ার টেক এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

কাপাসিয়ার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার জানান, কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের সালুয়ার টেক এলাকার মৃত মোতালেব ভুইয়ার ছেলে রবিন ভুইয়া ও তার নাতি (মৃত মোতালেবের) জাহিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জাহিদের ম্যানেজার হিসেবে জমিজমা দেখাশোনা করতেন শ্রমিকলীগ নেতা ইদ্রিস। তিনি টোক-গাজীপুর রুটের বাসের চালক ছিলেন। ইদ্রিস সম্প্রতি ম্যানেজারের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জাহিদের মামা রবিন ভুইয়ার পক্ষ নেন। এতে জাহিদের সঙ্গে ইদ্রিসের বিরোধ দেখা দেয়। এরজেরে গত ৪/৫দিন আগে ইদ্রিসের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে খুন করার হুমকি দেয় জাহিদ। সোমবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে ইদ্রিস বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরেন নি। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়। পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে মৃত মোতালেব ভুইয়ার বাড়ির পুকুর পাড়ে ইদ্রিসের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে মারধরের ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ জাহিদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬২ রাউন্ড গুলিসহ লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তল ও একটি পয়েন্ট টুটু বোরের রাইফেল এবং কয়েকটি টেটা, বল্লম ও কুড়াল জব্দ করেছে।

ওসি রফিকুল ইসলাম আরো জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর কোন এক সময়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ইদ্রিসকে পিটিয়ে ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ পুকুর পাড়ে ফেলে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।