কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নে নয়াকাটা গ্রামে মন্নান হাওলাদারের একমাত্র ছেলে শাহিন আলম দীর্ঘ দশ বছর পর্যন্ত কলাপাড়ার বিভিন্ন বাসা-বাড়ী ও অফিস আদালতে টাইলসের রাজ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। জুলাই মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তারি পরিক্ষার (টেষ্ট রির্পোটে) আসে তার কিডনি দু’টি নষ্ট হয়ে গেছে। এর পর শরীরের কোনো উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।

বর্তমানে শাহিন ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ডা: রেজওয়ান রহমান-এর তওÍাবধায়নে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শাহিনকে সুস্থ করে তুলতে তাকে সপ্তাহে দু’টি কেমোথেরাপি ও এক ব্যাগ রক্ত এবং কিডনি দু’টি পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিটি কেমোথেরাপির দাম ১৯০০টাকা। আর প্রতিমাসে ঔষধ ব্যবদ ত্রিশ হাজার টাকার প্রয়োজন। কিডনি দু’টি পরিবর্তন করে নতুন একটা কিডনি দিতে তার একমাত্র মা ছেলেকে বাচাঁনো জন্য তার একটি কিডনি হস্তন্তর করবেন। নতুন একটি কিডনি সংযুক্ত করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবে। তার এ চিকিৎসার জন্য ঔষধপত্রের খরচ মিলিয়ে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মতো লাগবে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাই তার জন্য কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাহিন আলমের বৃদ্ধ অসুস্থ স্ট্রোক করা পিতার পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন একেবারেই অসম্ভব। ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা খরচ জোগাতে দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন মো.শাহিন আলমের পরিবার।

শাহিন আলমের মা ফারিদা বেগম জানান, ২০২০ জুলাই-আগষ্ট মাসে তিন লাখ টাকা খরচ করছি ছেলের পিছনে। আমার ছেলের চিকিৎসার করতে গিয়ে নিজের গয়নাগাঁটি, জমিজমা বিক্রি করে মানুষের কাছে চেয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। এবার কিভাবে কি হবে জানি না। সমাজের বিওশালীদের একটু সহায়তাই পারে শাহিন আলমকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসবে। অশ্রৃজড়িত কন্ঠে শাহিনের মা বলেন, আমি বিশ্বাস করি নিশ্চয় আপনাদের রয়েছে দীর্ঘশ্বাস মিশ্রিত মমত্ববোধ। আপনারা এই অসহায় ছেলেটির কথা এবং পরিবারটির সার্বিক অবস্থা বিবেচনাপুর্বক বাড়িয়ে দেবেন- ভালোবাসার হাত। যে হাতটি হবে এই পরিবারটির জন্য অত্যন্ত নির্ভরতার। সর্বশেষে কেঁদে কেঁদে বলেন, ওকে বাঁচান, ওর আতœাকে বাঁচান, ওকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন-ভালবাসার হাতটা বাড়িয়ে দিন। দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন শাহিন আলম। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য মোবাইল – ০১৭৮৬-৫৩৬৭৪৪ (বিকাশ অ্যাকাউন্ট করা রয়েছে)।

 

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি