সিটি করপোরেশনকে মহানগর সভা, পৌরসভাকে নগর সভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পরিচালনা আইন-২০২০ এ। তবে এরকমটা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

সোমবার (৩১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পরিচালনা আইন-২০২০’ অনুমোদন দেয় ইসি। ইসি সচিব বলেন, আমরা আইন বাংলায় রূপান্তর করলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নাম ও পদবির নামগুলো প্রচলিত শব্দগুলোই রাখা হবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যবহৃত নাম ও পদবিতে কোনো পরিবর্তন হবে না।

মো. আলমগীর বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোরর আইন সমন্বিত করে বাংলায় রূপান্তর করার উদ্যোগ নেয় কমিশন। নতুন প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় সিটি করপোরেশনকে মহানগর সভা, পৌরসভাকে নগর সভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লী পরিষদ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সিটি মেয়রের পদকে মহানগর আধিকারিক; পৌর মেয়রকে পুরাধ্যক্ষ বা নগরপিতা, কাউন্সিলরকে পরিষদ সদস্য, ওয়ার্ডকে মহল্লা; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের প্রধান, উপ-প্রধান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে পল্লী পরিষদ প্রধান করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সোমবারের বৈঠকে এ বিষয়টি থেকে কমিশন সরে এসেছে।

মো. আলমগীর বলেন, এটি একটি প্রস্তাবনা। তার ওপরই আলোচনা হচ্ছে। আইন প্রণয়ন করতে গেলে যতক্ষণ না সংসদে পাস হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিই হচ্ছে পরিবর্তনের। এখন যা হচ্ছে তা চূড়ান্ত নয়। এটি আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে, কেবিনেটে যাবে, সংসদীয় কমিটিতে যাবে; সব ধারেই খসড়াটির পরিবর্তন, পরিবর্ধন হতে পারে।

ইসি সচিব বলেন, এটি শিগগিরই ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে নাগরিক সমাজের মতামত নেওয়ার জন্য। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোকেও খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে। আবার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংগঠনের কাছেও খসড়াটির ওপর মতামত দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে। তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতেই খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।