পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় পাবনা-৪ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন বোর্ডের ভার্চুয়াল সভায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে দলীয় মনোনয়ন দেয় বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাবনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার হয়। পরে হাবিবুর রহমান হাবিবকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। বিকাল ৫টা থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে চলা ভার্চুয়াল মনোনয়ন বোর্ড সভায় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন।

সভায় নিজ নিজ বাসা থেকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ড তথা স্থায়ী কমিটি পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিবকে মনোনয়ন দিয়েছে।

মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর হাবিবুর রহমান হাবিব বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ড আমাকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

হাবিব বলেন, ‘আমার ভোটারদের কাছে আবেদন জানাব আপনারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ভোট দিতে আসবেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান।

এদিকে পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন মো. রেজাউল করিম।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচন হবে । আগ্রহী প্রার্থীরা ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ভোট হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। পাবনার এ উপ-নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। সেদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। গত ২ এপ্রিল সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি।