দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৩৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ৫৮২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৩৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২০৪টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৬টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬.৯৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০.১৩ শতাংশ। নতুন যে ৩৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৪০৮ জন বা ৭৮.৩৩ শতাংশ এবং নারী ৯৪৩ জন বা ২১.৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩৭ শতাংশ।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ৮৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬৬.৪৬ শতাংশ।

দেশের সব জেলাতেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তবে ১৫টি জেলায় ঈদুল আজহার পরের এক মাসে রোগী বৃদ্ধির হার বেশি দেখা গেছে। এই জেলাগুলোতে এক মাসের ব্যবধানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে চারগুণ পর্যন্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের(আইইডিসিআর) তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এই এক মাসে তুলনামূলক নতুন রোগী বৃদ্ধির হার বেশি দেখা গেছে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে। যে ১৫টি জেলায় আগের চার মাসের তুলনায় গত এক মাসের ব্যবধানে ১০০ শতাংশের বেশি নতুন রোগী যুক্ত হয়েছে, তার চারটি ঢাকা বিভাগের, পাঁচটি রংপুর বিভাগের।

শুরু থেকেই রাজধানীতে সংক্রমণ বেশি, এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর পাশাপাশি এই বিভাগের সব জেলাতেই নতুন রোগী বেড়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে দুই কোটি ৫৭ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৫৭ হাজারে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।