দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার হাসপাতালটির পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ জানিয়েছিলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তার অপারেশন করা ও বিদেশ নেওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। ওয়াহিদা খানমকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার মাথার বাম পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম হাত ও পা কোনো রকম সাড়া দিচ্ছে না।

গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে ইউএনওর বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতাল এবং তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। মাঝে মাঝে মেয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন এই মুক্তিযোদ্ধা। ইউএনও ওয়াহিদার স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। জানা গেছে, ইউএনও’র বাবা ওমর আলী প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে হাঁটার জন্য বের না হওয়ায় তার হাঁটার সঙ্গীরা খোঁজ নিতে বাসায় আসেন। পরে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা। পুলিশ গিয়ে ইউএনও ও তার বাবাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার সময় বাসভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে একটি কক্ষে বেঁধে রাখা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।

তবে কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়ে, কেন ঘটিয়েছে এই বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে এক যুবক প্রবেশ করে। প্রথমে ওই যুবক তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়িভাবে তাকেও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসকের।