দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি রং মিস্ত্রি নবিরুল ও সান্টুকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুরে মামলাটি ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাইয়ের দায়ের করা মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর ওই দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এই মামলার মূল আসামি আসাদুল হক অসুস্থ থাকায় তাকে এখনো আদালতে হাজির করা হয়নি।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা তদন্ত কার্যক্রম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মমিনুল ইসলাম। তার বদলে দিনাজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম জাফরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওসি ইমাম জাফর বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে ইউএনওকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।