দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বন্ধ হল, ডক্টরস পয়েন্ট এন্ড চৌধুরী ডায়াগনিস্টিক সেন্টার নামে একটি অবৈধ্য ডায়াগনিস্টিক সেন্টার।

গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় পৌর শহরের শাখা যমুনা ব্রীজ সংলগ্ন দির্ঘদিন থেকে অবৈধ্য ভাবে পরিচালিত হওয়া ডক্টরস পয়েন্ট এন্ড চৌধুরী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে এই অভিযান পরিচালনা করে সীলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কায়রুল আলম সুমন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নাদিয়া আলম উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় মোছাঃ লিভিয়াজুন (৩৮) ও মেহেরাজুন বৈশাখী (২৪) নামে ওই ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কায়রুল আলম সুমন বলেন একটি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনিস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য যে কয়টি উপকরণ প্রয়োজন, তার মধ্যে সরকারী অনুমোদ বা অনুমতি, ইসিজি পরিক্ষার জন্য একজন কার্ডিও গ্রাফার, এক্স-রে এর জন্য একজন রেডিওগ্রাফার, একজন প্যাথলোজি টেনিশিয়ান এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ কার্ডিও, প্যাথলোজি, এক্স-রে রিপোট করা ও যাছাইয়ের জন্য নিদ্ষ্টি চিকিৎসক। কিন্তু ক্টরস পয়েন্ট এন্ড চৌধুরী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে এর কিছুই পাওয়া যায়নি, এমনকি সরকারী অনুমতিপত্রও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন একটি সরকারী অনুমতিপত্র থাকলেও তার মেয়াদ গত ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হয়ে গেছে। এই কারনে এই ডায়াগনিস্টিক সেন্টারটি সীলগালা করে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি কাগজ ভূয়া মনে হওয়ায় সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তিতে ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে ডক্টরস পয়েন্ট এন্ড চৌধুরী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে গাঁ ঢাঁকা দিয়েছেন ডক্টরস পয়েন্ট এন্ড চৌধুরী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিক নুর আলম চৌধুরী জয়। স্থানীয়বাসীন্দারা বলেন ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিক নুর আলম চৌধুরী জয় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দির্ঘদিন থেকে ভূয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন, এই কারনে ইতোপুর্বেও তিনি ভূয়া চিকিৎসক হিসেবে আটক হয়েছিলেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন বলেন, অভিযানের সময় নুর আলম জয় এর দেয়া চিকিৎসাপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মোঃ রজব আলী, দিনাজপুর প্রতিনিধি