ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির সম্পূর্ণ কার্যক্রম তদন্ত করতে সরকারের সাত সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।সংস্থাগুলো হচ্ছে— দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে গত ২৫ আগস্ট এফটিএ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীনের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এ তদন্ত কমিটি ই-ভ্যালির কার্যক্রমে প্রতারণা, জালিয়াতি এবং সময়ম পণ্য সরবরাহ না করাসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের জন্য গত রোববার চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুদকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি এবং সময় মতো পণ্য সরবরাহ না করাসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ধরন বিবেচনায় এটি দুদক সংশ্লিষ্ট বিধায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর প্রযোজ্য ধারা ও বিধি-বিধানের আলোকে এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।এদিকে, ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটির এবং এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিতে তাদের নামে থাকা সব হিসাব আগামী ৩০ দিন স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। বিএফআইইউ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাই ই-ভ্যালিসহ ই-কমার্সকে নিয়মের মধ্যে আনতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।